একটি মজার স্বপ্নের বাস্তবে রূপদান, স্বপ্নের শুরু ২০১১।

আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি আর আমার এক ভাতিজা একটি প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি সদ্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে গ্রাজুয়েশন করা আর ভাতিজা আমার মিলিটারি সাইন্স অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে।

প্রজেক্ট এর খাতিরে গল্প করতে করতে হঠাৎ তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আর একবছর পরেইতো গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট, তো কি করার ইচ্ছা বা জীবনের লক্ষ্য কি? উত্তরে সে বলল কাকা তেমন বেশি কিছু না, আসলে আমার জীবনে তিনটা জিনিস প্রয়োজন:

#এক, আমার একটা ভালো মানের গাড়ি থাকবে, পরিবারের সবাই মিলে ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়াবো।

#দুই, একটা সাজানো বাড়ি।

#তিন, আর সেই বাড়ির ভিতরে সাজানো-গোছানো স্বপ্নের মত একটা বাথরুম।

তার শেষ কথাটি শুনে, ঠোটের কোনে এক চিলতে হাসি হাসলেও, কথাটি খুব গভীরভাবে নিয়েছিলাম এবং ভাবতে লাগলাম কেন সে এই কথাটি বলল। আর মনে হতে থাকলো জীবনে বাথরুমের গুরুত্ব অপরিসীম, এই বাথরুমের ভিতর থেকেই জীবনের বড় বড় সিদ্ধান্ত আসে, তাই জীবনে এই বাথরুমকেই সুন্দর করে সাজাতে হবে।

This slideshow requires JavaScript.

দশ বছর পরে, ২০২১ এর কথা যদি বলি, ভাতিজা আমার সদূর আমেরিকা প্রবাসী (বর্তমানে আমেরিকার নাগরিকও) এবং সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে আমেরিকার মাল্টি বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি ওয়ালমার্টে, লেভেল-3 সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। ছবিতে যে বাড়িটি দেখতে পারছেন, সুদূর আমেরিকায় অবস্থিত তার সেই স্বপ্নের নিজস্ব বাড়ি। আবারো কনগ্রাচুলেশন ভাতিজা এবং আরো উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

কোন একদিন হয়তো আমার বিদেশ ভ্রমণের তালিকাতে আমেরিকা দেশটি যুক্ত হবে, তখন হয়তো দেখে নিব তার সেই স্বপ্নের বাথরুমটিও।

ফুটনোট :
একজন মানুষ যেভাবেই স্বপ্ন দেখুক না কেন, মূল কথা হচ্ছে তার সেই স্বপ্নের পিছনে ছুটে চলা, অভিরাম কাজ করে চলা আর ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকা। তাহলেই সাফল্য অনিবার্য। পরিশেষে, যদি লেখাটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মজার স্বপ্নের বাস্তবে রূপদান, স্বপ্নের শুরু ২০১১।

Write a comment....

Scroll to top
error: Content is protected !!