Freelancing

Prothom Alo

ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন এ টু জেড

আপনি কি পরিশ্রম আর ধৈর্য ধরতে আগ্রহী?

অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করতে হলে পরিশ্রমটাও অন্যদের চেয়ে বেশিই দিতে হবে জীবনে। বড় হওয়ার প্রচন্ড ইচ্ছাই মানুষকে বড় করে তোলে।” এই লেখাটি প্রথম চোখে পরে যখন আমি প্রথমবার ঢাকা শহরে আসি। প্রায় প্রতিদিনই মনে পড়ে এবং এটাই সত্য। ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। অতএব লেগে থাকুন আর চেষ্টা চালিয়ে যান!

এবার আসি কথায়, এইখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অনেক সফল ফ্রীলান্সার রয়েছে এবং তাঁরা সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেক সফল ফ্রিল্যান্সারের সফল হওয়ার পিছনে এক একটি গল্প বা এক একটি ইতিহাস আছে।

যেমন কত রাত না ঘুমিয়ে থাকা, নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে কাজ করা, বন্ধু বা পরিবারের আড্ডা থেকে নিজেকে বিরত রাখা, অনেক আপনজনের কল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও না ধরা কাজের জন্য, কাজের জন্য কোথাও বের হতে না পারা, বেশিরভাগ সময় নিজেই নিজেকে ভুলে যাওয়া, আমি কি মানুষ না মেশিন ইত্যাদি মনে হওয়া। আরো কত কি…..বলে বুঝানো যাবে না। আপওয়ার্ক এ যারা সফল ফ্রীলান্সার একমাত্র তাঁরাই বুঝতে পারে এই সফলতার পিছনে রয়েছে কত পরিশ্রম আর কত ত্যাগ।

আর এখন দিন যত যাচ্ছে, প্রতিযোগিতাও বেড়ে যাচ্ছে। অতএব সফল হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই, একাগ্রচিত্তে লেগে থাকার বিকল্প নেই। নিজেকে কখনো ছোট বা আমাকে দিয়ে কিছু হবে না এমনটা কখনো ভাববেন না। এই হীনমন্ম্যতাই আপনাকে আরো পিছিয়ে দেয়। জীবনে সফল হতে গেলে নিজেই নিজেকে আগে ভালোকরে জানতে হবে। নিজের দোষগুলো বের করার চেষ্টা করতে হবে। লেগে থাকুন আর নিজের ভুল থেকে প্রকৃত শিক্ষাটা নিতে শিখুন।

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটার মানে কি? কিভাবে শুরু করব?

নতুনরা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে জানলেও কিভাবে শুরু করবে বা কিভাবে কি করবে তা নিয়ে আসলে দ্বিধায় থাকে। তাই বিভিন্ন এক্সপার্টদেরকে বারবার জিগাইতে থাকে “ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে করব?” যার ফলে তারা বিরক্তবোধ করেন । তাই আজকে মোটামোটি একটা গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করছি যাতে প্রসেসগুলো অনেকটা পরিষ্কার হয়ে।

ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি?
সহজ কথায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোন কাজ করাকে Freelancing বলে । আরো ভালভাবে খাইয়ে দিতে বলতে হয়, আমরা সাধারণত দেখতে পাই বিভিন্ন Computer এর দোকানে Graphics এর কাজ জানে এমন মানুষেরা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্টানে MS Office এর কাজ জানে এমন মানুষেরা কাজ করে । তারা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে নির্দিষ্ট সময় মেনে দীর্ঘ সময় ধরে একই BOSS এর কাজ করে । একই কাজগুলো Online এ “Contract Basis Short time” করাকেই Freelancing বলা হয় । এই কাজগুলো সাধারণত short time হয় এবং worker এবং buyer এর মধ্যে যৌথ সম্মতিতে হয় ।

ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?

  • যে কাজটি করে দিচ্ছে তাকে বলা হয় Freelancer, অর্থাৎ সে Freelancing করছে ;
  • আর যিনি কাজটি করাচ্ছেন তিনি Outsourcing করছেন, যার মানে হল তিনি বাইরে থেকে কাজটি করিয়ে নিচ্ছেন ।

) ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে কি কি যোগ্যতা থাকা একান্ত প্রয়োজন?

  • যোগাযোগ ক্ষমতা (English Written)
  • ইন্টারনেট সম্পর্কে ভাল ধারণা
  • Google এবং Youtube ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় তথ্য বের করে আনার মত দক্ষতা

প্রথমত এই দক্ষতাগুলি থাকলেই আপনি Freelancing এর যোগ্য। এখানে কোনপ্রকার একাডেমিক সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন নেই, মূল্যায়ণ দক্ষতার।

) ফ্রিল্যান্সি কি কি কাজ করা যায়?
নতুনরা প্রায় সবাই এই প্রশ্নটি করে থাকে, ভাই কাজ পেতে কত দিন লাগবে বা কিভাবে পেতে পারি? এটা একটা কমন প্রশ্ন সবার। কিন্তু ভাই কাজ পাবার আগে কাজ টা তো ভালো ভাবে শিখতে হবে আপনি যদি কাজ না শিখেই কাজ পাবার আশা করেন তাহলে তো আপনার চিন্তা-ধারা ভুল। যে কোনো কাজই শিখতে চান না কেন, আগে ভালোভাবে আপনাকে শিখতে হবে। তারপর কাজ পাওয়ার চিন্তা করতে হবে।

তবে বর্তমানে যে কাজের চাহিদা বেশি মার্কেট এ তা নিচে উল্লেখ করা হলো: 
✔ওয়েব ডিজাইন
✔ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
✔ওয়ার্ড প্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট
✔গ্রাফিক্স ডিজাইন
✔কনটেন্ট রাইটিং
✔মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
✔লিড জেনারেশন
✔অ্যাডমিন সাপোর্ট 
✔কাস্টমার সার্ভিস 
✔ইন্টারনেট রিসার্চ এন্ড ডাটা এনালাইসিস
✔প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট

৩) কোন কাজটা সহজ? কোন কাজটা করলে ভাল হবে এবং আয় করা যাবে?
এইসব প্রশ্ন করা বোকামী। যাকে এই প্রশ্নটা করবেন সে অবশ্যই নিজে যে কাজটা করে সে কাজটাকেই সহজ বলবে, কারণ সে কাজটা তার কাছে সহজ । কিন্তু, আপনার কাছে সে কাজটা সহজ বা ভাল নাও লাগতে পারে। আপনার কোন কাজে দক্ষতা বা ইন্টারেস্ট লাগবে সেটা অন্য কেউ বলে দিতে পারবেনা । সুতরাং, আগে সব কাজ সম্বন্ধে জানেন এবং নিজেই ঠিক করেন কোনটা নিয়ে কাজ করবেন ।এজন্য আপনাকে Google এবং Youtube কে কাজে লাগাইতে হবে । এই দুই জায়গায় পাবেননা এমন কিছুই নাই । যদি search করেন “সুন্দ্রী মেয়েদের পটানোর মন্ত্র কি?”, Google এবং Youtube এ অনেক তথ্য নিশ্চিত পেয়ে যাবেন ।এভাবেই খুজেন “What is SEO/ What is Web Design”, হাজার উত্তর পেয়ে যাবেন ।

) কাজ কিভাবে শিখব?
কোনটা নিয়ে কাজ করবেন ঠিক করার পর এবার শিখার পালা। শিখার জন্য আপনাকে কোন প্রশিক্ষকের কাছে যেতে হবে, তবে ভাল প্রশিক্ষক হতে হবে। বর্তমানে অহরহ প্রতিষ্টান গড়ে উঠেছে যেগুলো নামে শেখায় । যারা অনলাইনে ভাল কিছু করতে পারেনি তারাও এখন প্রশিক্ষক, কারণ কিভাবে ইনকাম করতে হয় সেটা শিখিয়ে ইনকাম করাটা অনেক সহজ। সুতরাং ভাল শিখায় এবং ভাল সাপোর্ট দেয় এমন প্রতিষ্টানে যেতে হবে । কারণ, সফলতা অনেকাংশেই শিখানোর উপরে নিরভর করে। এমন প্রতিষ্টান হাতে গুণা কয়েকটা আছে। আর মনে রাখবেন জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা, এই প্রতিযোগিতায় সবাই জয়ী হতে চাই কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজনই প্রথম হয়। আমরা সবাই জয়ী হতে চাই কিন্তু পরাজয় থেকে প্রকৃত শিক্ষাটা আর নেই না।

যেমন দৌড় প্রতিযোগিতায় সবাই কিন্তু একসাথেই শুরু করে দৌড়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেবল একজনই থাকে যে সবার আগে পেরিয়ে যায় ফিনিশিং লাইন। ছোট্ট একটা দৌড়, পাঁচ মিনিটেরও না, অথচ এর প্রস্তুতির পেছনে কত অজস্র ঘণ্টার পরিশ্রম মিশে থাকে! যেই মানুষটা প্রথম হলো, দেখা যাবে অন্যরা যখন ঘুমাচ্ছে সে তখন ঠিকই একাকী মাঠে ঘাম ঝরিয়েছে দৌড়ের প্রস্তুতিতে। জীবনের সব ক্ষেত্রেই এমন, সাফল্য পেতে হলে অন্যদের চেয়ে বেশি উদ্যম থাকতেই হবে।

 

নিজেকে জানুন- ঠিক/যাচাই করুন কীসে আপনি ভালো!

এটা ভাবা খুবই বোকামি যে, আপনি মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল করবেন আর ডলার আসা শুরু হবে। বিশ্বাস করুন – নিজেকে জানার চেয়ে বড় আর কিছু নেই।
“হোয়াট ইজ মাই স্ট্রেংথ?” – এই ছোট্ট প্রশ্নটা নিজেকে করতে হবে এবং তা যাচাই করতে হবে।

কীভাবে?

খুব সহজ। কোথাও যেতে হবে না আপাতত। গুগল আর ইউটিউব হতে পারে সবার জন্যই তাৎক্ষণিক বড় শিক্ষক মশাই। আপনার যে বিষয়টি ভালো লাগে, সে বিষয়ের উপর ভিডিও দেখেন, গুগুল করেন। জানুন। একাধিক বিষয়ও থাকতে পারে। ট্রাই করুন। সময়দিন। মনোযোগ সহকারে।

আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন- কোন বিষয়টি (নিস) আপনার জন্য। শুধু তাই নয়- সেই বিষয়ে (স্কিল-সেট) আপনি মোটামুটি জেনেও যেতে পারবেন এভাবে।

অ্যাডভান্স লেভেলের কাজের জন্য প্রোগ্রামিং এর বিকল্প নেই।

অ্যাডভান্স লেভেলের কাজের জন্য প্রোগ্রামিং এর বিকল্প নেই। আমি সবসময়ই নতুনদের পরামর্শ দিয়ে আসছি প্রোগ্রামিং এর বিষয়ে। আমি মনে প্রাণে চাই আউটসোর্সিং এ আমাদের দেশে অনেক অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ আরো আসুক। আর এই অ্যাডভান্স লেভেলের কাজের জন্য প্রোগ্রামিং এর বিকল্প নেই।

আমি নতুনদের উদ্দ্যেশে বলতে চাই, আপনারা চেষ্টা করুন iOS ডেভেলপমেন্ট, Android ডেভেলপমেন্ট, পাইথন নিয়ে। এইসব ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা কিছুটা কম। আপনাদের কাছে আমার এটাই চাওয়া আপনারা চেষ্টা চালিয়ে যান। অধৈর্য বা নিরাশ হবেন না। লেগে থাকুন, সাফল্য আপনার আসবেই। আর মনেকরি এতেই জীবনের আসল সার্থকতা। আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা বললাম ভাই।

আপনাদের জন্য একদম শুরু থেকে অ্যাডভান্স লেভেল এ কি কি প্রোগ্রাম শিখতে হবে বা শেখা যায় সেজন্য কিছু পোস্ট। প্রথমেই আপনারা প্রোগ্রামিং এর জন্য “C” দিয়ে শুরু করবেন। “C” হলো প্রোগ্রামিং এর মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ।

“C” হলো প্রোগ্রামিং এর জন্য :
http://cpbook.subeen.com/
http://shikkhok.com/c-programming

iOS ডেভেলপমেন্ট এর জন্য :
https://www.etondigital.com/the-best-resources-for-learning-ios-development/
http://shikkhok.com/ios-app-development

Android ডেভেলপমেন্ট এর জন্য :
http://shikkhok.com/android-app-development
https://developer.android.com/training/index.html
https://www.codementor.io/learn-android-development

পাইথন এর জন্য:
http://shikkhok.com//python
https://www.youtube.com/watch?v=41qgdwd3zAg&list=PLS1QulWo1RIaJECMeUT4LFwJ-ghgoSH6n

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য :
বেসিক: https://www.w3schools.com/
https://www.youtube.com/watch?v=3JluqTojuME&list=PLoYCgNOIyGAB_8_iq1cL8MVeun7cB6eNc

) কোথায় কাজ করব?
কাজ শিখার পর এবার কাজ করার পালা । সাধারণত Freelancer রা যেখানে কাজ করে সেগুলো Marketplace হিসেবে পরিচিত।

 

মার্কেটপ্লেস বেছে নিন এবং প্রোফাইল তৈরি করুনঃ

ফ্রীল্যান্সিং-এর জন্য যেমন অনেক ধরনের কাজ আছে, তেমনি রয়েছে কাজের জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস। যেমনঃ

  • Upwork
  • Freelancer
  • Fiverr
  • Toptal
  • PeoplePerHour
  • Guru
  • Belancer (Bangladeshi)

……আরো অনেক মার্কেটপ্লেস আছে এছাড়াও।

অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে আমার প্রোফাইল থাকলেও আমি মূলত কাজ করি আপওয়ার্কে। ভালো লাগে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

আপনি আপনার পছন্দমতো মার্কেটপ্লেস সিলেক্ট করে নিন। তারপর সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করতে মন দিন। এটা কঠিন কোনো কাজ নয়।

প্রোফাইল সাইনআপের আগে কিছু বিষয়ে প্রিপারেশন নিয়ে নিনঃ

  • আপনার স্কিলসেটস (আপনি যা কাজ করতে চান- যা আপনি ভালো বিক্রি করতে পারবেন)
  • আপনার ইমেল
  • ইউজারনেম
  • ছবি (প্রফেশনাল লুক/ মাইল্ড স্মাইলিং)
  • ঠিকানা (আইডি কার্ড/ পাসপোর্ট অনুযায়ী)


  • ভালো / প্রফেশনাল প্রোফাইলের জন্য লক্ষ্য করুনঃ
  • নামঃ আসল নামটি ব্যবহার করাই উত্তম। সত্য তথ্য দিন সব!
  • টাইটেলঃ আপনার নামের পরেই থাকবে টাইটেল। ছোট কিন্তু স্মার্টলি প্রফেশনাল করার চেষ্টা ক্রুন এটি। ক্লায়েন্ট যেনো আপনার টাইটেল দেখে উৎসাহী হন। যেমনঃ Results-Oriented SEO Expert বা এমন।
  • ওভারভিউঃ এখানে আপনি সুন্দর করে আপনি যা করতে পারেন তা উল্লেখ করুন। ভালো হয়, কিছু বিষয় বুলেটেড করে দিন। এতে সহজে আপনার পয়েন্টগুলো চোখে পড়বে।
  • মনে রাখুনঃ আপনার প্রোফাইল আপনার প্রফেশনাল মিরর। এটাতে আপনার প্রতিচ্ছবি দেখেই ক্লায়েন্ট আপনাকে জবের জন্য ডাক দিবে। তাই সতর্ক হোন। পেশাদারী মনোভাব নিয়ে তৈরি করুন আপনার আয়না। যেভাবে সবচেয়ে ভালো দেখা যায় আপনাকে। আপনি মানে আপনার স্কিল!!

এবার আসি প্রোফাইল ওভারভিউ কি এবং কিভাবে সাজাবেন। আপওয়ার্কে আপনার একাউন্ট তৈরি করার পর সবচেয়ে যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো প্রোফাইল ওভারভিউ। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। ভালো ইংরেজি জানলে আপনি অবশ্যই পারবেন।

কিভাবে সাজাবেন:
১। আপনার আপওয়ার্ক একাউন্ট এর ওভারভিউ এমন ভাবে সাজাবেন যেন ক্লায়েন্ট আপনার বা আপনার স্কিল সম্পর্কে খুব সহজেই ধারণা পাই এবং প্রোফাইলে এমন একটি ছবি যুক্ত করবেন যেটায় আপনাকে হাসিখুশি, স্মার্ট এবং প্রফেশনাল লাগে।

২। আপনার কোনো ভালো কাজের বিবরণ, আপনার কাজের ধরণ বা আপনার কাজের স্টাইল ইত্যাদি যুক্ত করুন। অর্থাৎ আপনার রেসপন্সিবিলিটি কি, সেটা গুছিয়ে লিখে দিবেন।

৩। আপনার যদি কোনো এক্সট্রা একটিভিটিস থাকে যেমন: স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবক, খেলা বা পেইন্টিং সম্পর্কে উত্সাহী। এইগুলি যুক্ত করতে পারেন এবং প্রমাণ করুন যে আপনি কেবলমাত্র কাজ করার চেয়ে আরও বেশি কিছু করেন এবং আপনার প্রোফাইলে এটা একটি আলাদা মাত্রা নিয়ে আসবে।

৪। আপনি জব ক্যাটাগরিগুলো এমনভাবে সিলেক্ট করুন যেন আপওয়ার্ক এবং ক্লায়েন্ট ইন্টারভিউতে জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথে উত্তর দিতে পারেন। এমন কিছু সিলেক্ট করবেন না যে ক্যাটাগরিতে আপনি কাজ জানেন না।

৫। যদি আপনার কোনো সার্টিফিকেশন থাকে যেটা আপওয়ার্ক সাপোর্ট করে তাহলে এটা প্রোফাইলের সাথে যুক্ত করে ফেলুন। এই সার্টিফিকেট আপনার প্রোফাইলে এক্সট্রা ভ্যালু যোগ করবে। আপনার করা কোর্স সম্পর্কে কিছু লিখে দিবেন, অর্থাৎ কোর্সের ডিস্ক্রিপশন ১-২ লাইনের মধ্যে লিখে দিবেন।

৬। আপনার প্রোফাইলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এর লিঙ্ক করে দেন। যেমন ফেসবুক, লিঙ্কডিন, টুইটার, বিহান্স, গুগল প্লাস ইত্যাদি। আমি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয় লিঙ্কডিন।

৭ । আপনার সম্পর্কে বা আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে এক মিনিট এর একটি ভিডিও তৈরি করুন। এটা আপনার প্রোফাইলে এক্সট্রা ভ্যালু যোগ করবে এবং নিশ্চিত হয়ে নেন যে আপনি ভালো মানের ভিডিও করছেন আর আপনার কথা বলার ধরণ ও আপনার উচ্চারণ ভালো হচ্ছে।

অবশেষে যারা নতুন নিজের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে প্রোফাইলের কোথায় ঘাটতি আছে সেটা খুঁজে বের করুন উপরে লিখিত পয়েন্ট অনুযায়ী।

প্রোফাইল এপ্রোভ করার এখন কাজ শুরু করার পালা

১) প্রথম প্রথম কাজ পেতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তাই, হতাশ না হয়ে বিড বা নিলামে অংশ নিতে হবে।
২) শুরুর দিকে যত কম মূল্যে বিড করা হবে কাজ পাওয়ার সম্ভবনা ততই বাড়বে।
৩) সম্ভব হলে বিড করার আগেই যদি কাজটি সম্পন্ন করে দেখাতে পারেন এবং গ্রাহক যদি পছন্দ করে তাহলে এ কাজটি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
৪) কোন কাজ না পারলে সেখানে কখনই বিড করা উচিত নয়।
৫) আপনি যে কাজই করে থাকুন না কেন, সেটাতে দক্ষ হয়ে উঠলে তবেই কাজের জন্য আবেদন করবেন।
৬) সাধারণত যেসব কাজ একটু কঠিন এবং যেসব কাজে কম বিড পড়ে সে রকম কাজ পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই, কাজ শুরু করার আগে সব ধরনের কাজ একটু পর্যবেক্ষণ করে নিজেকে তৈরি করে নিন। যদি আপনি দেখেন যে অলরেডি ক্লাইন্ট ৩/৪ জঙ্কে ইন্টারভিউ তে কল করেছে বা ৩/৪ জন কে ইনভাইট করেছে। সেই জবে বিড না করাই ভালো।
৭) আউটসোর্সিং এর কাজ করতে হলে ইন্টারনেট এ অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। অন্তত, প্রকল্পের চাহিদা বোঝা এবং সে অনুযায়ী গ্রাহকের সঙ্গে সাবলীল ভাবে যোগাযোগ করা ক্ষমতা থাকা দরকার।
৮) একটি প্রকল্প সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা না নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত নয়। কাজ শুরু করার পূর্বে, ক্লায়েন্টের সঙ্গে ভালোভাবে বুঝে নিন সে কি চায়।

৯) সম্পূর্ণ কাজকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করুন ও প্রতিটি ধাপ শেষ হওয়ার পর টা কায়েন্টকে দেখান।
১০) কাজের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই কাজ শেষ করুন ও গ্রাহকের কাছে পাঠিয়ে দিন।

) এবার আসি টাকা কিভাবে উত্তোলন করবেন?

কাজ করার পর $ আপনার Marketplace Account এ জমা থাকবে এবং সেগুলো তোলার কয়েকটা উপায় আছেঃ

  • Payoneer
  • Bank Withdraw
  • Bank Wire Tranfer

PayPal বাংলাদেশে সাপোর্ট করেনা, তাই এটার কথা বলে লাভ নেই। তবে এটি সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়, কারণ এটি সব জায়গায় সাপোর্ট করে । যদিও অনেকে ব্যবহার করে, কিন্তু অনেক রিস্ক। আমরা Marketplace থেকে Payoneer এবং Payoneer থেকে Bank এ বা সরাসরি বুথ থেকে Payoneer Card এর মাধ্যমে টাকা তোলতে পারি।

 

One thought on “Freelancing

Write a comment....

Scroll to top
error: Content is protected !!